নারীরা নানাভাবে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। আমরা আরো বেশি
আধুনিক ও সভ্য হয়ে ওঠার দাবি করছি। নারীবাদী সংগঠনগুলো আগের চেয়ে অনেক বেশি সোচ্চার। পুরুষেরা তাদের সাথে যোগ দিয়ে নারীবঞ্চনার অবসানে এগিয়ে এসেছেন। আমাদের পাঠ্যসূচিতে সবপর্যায়ে পরিবর্তন আনা
হয়েছে নারী অধিকারের বিষয়টি মাথায় রেখে। উচ্চশিক্ষার অনেক বিষয়ে নারীদের নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। সরকার কোটা করে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে নারীদের বিশেষ সুবিধা দেয়ার চেষ্টা
করছে। সবার ওপর আমাদের সরকার বিরোধী দলের নেতা নারী। প্রায় ২০ বছর ধরে
নারী নেত্রীদের অধীনে
বাংলাদেশের শাসন পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু, পারিবারিক,
সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নারীদের অসহনীয় বঞ্চনা ও নির্যাতনের মাত্রা কমেনি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রকাশিত সামপ্রতিক এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশে অপরাধের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে নারী নির্যাতন। স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে, আমাদের এত সব প্রচেষ্টার মধ্যে গলদ কোথায়? আমরা কি শুধু গলাবাজিতে ব্যস্ত?
ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০০৯-১০ অর্থবছরে যেখানে নারী নির্যাতনের সংখ্যা ছিল ১৩ হাজার ৫২৫টি, ২০১০-১১ অর্থবছরে তা ৩১ দশমিক ৬৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৮১১টিতে। ২০১০-১১ অর্থবছরে ধর্ষণের সংখ্যা বেড়েছে ৩৭৫টি। বিগত অর্থবছরে ছিল তিন হাজার ৮৪টি। ২০১০-১১তে তা দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৪৫৯টিতে। এ পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রতিদিন গড়ে ৯টির বেশি ধর্ষণের ঘটনা সরকারের অভিযোগ খাতায় উঠছে। এটি নারীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত চূড়ান্ত পর্যায়ের একটি অপরাধ। যৌতুক আদায় করতে গিয়ে নির্যাতনে প্রাণ হারাচ্ছেন প্রতিনিয়ত নারীরা। এ ক্ষেত্রে পরিবারের অন্য নারী সদস্যরা নির্যাতিত নারীর বিরুদ্ধে অবসান নিচ্ছেন। ইভটিজিংয়ের বিষয়টি সব সময় আলোচনায় থাকছে। অর্থাৎ এটি অহরহ ঘটে চলেছে। অপেক্ষাকৃত কম বয়সী অসংখ্য মেয়ে প্রতিনিয়ত বখাটে ছেলেদের অত্যাচার সহ্য করে যাচ্ছে। অনেকে অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছে। এ মিছিল ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় প্রায়ই বখাটেদের হাতে নিকটাত্মীয়দের প্রাণ হারানোর খবর পত্রিকার শিরোনাম হচ্ছে। প্রাণ হারানোর তালিকায় অনেক সময় শিক্ষকদেরও দেখা যাচ্ছে। অর্থাৎ তারা ছাত্রীদের অপমানের প্রতিবাদ করায় বখাটেদের আক্রমণের লক্ষ্যে পরিণত হচ্ছেন। অনেক সময় বখাটেরা এসিডে ঝলসে দিচ্ছে মেয়েদের। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই প্রতিবেদনে ৮৫টি অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে।
নানা প্রচার-প্রচারণার পরও নারীর প্রতি সহিংস আচরণ কমছে না। এর জন্য বর্তমান সামাজিক ব্যবস্থাকে দায়ী না করে পারা যায় না। আমরা নারী অধিকার আদায়ের ব্যাপারে আন্দোলন সংগ্রামে অনেক দূর এগিয়ে গেছি। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে নারী উন্নয়নের জন্য আমাদের মধ্যে যতটা মানবিক মূল্যবোধ অর্জিত হওয়ার দরকার, তা হয়নি। সোজা কথা, মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধ করা যায়নি। নারী অধিকার আন্দোলন হয়তো জোরদার হয়েছে, কিন্তু নৈতিক অবক্ষয়ের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। সে জন্য রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে সে মূল্যবোধ জাগ্রত করার জন্য উদ্যোগ নেয়া দরকার। অন্য দিকে নারী প্রগতির আন্দোলনের পাশাপাশি নারী-পুরুষ সবার উন্নত মূল্যবোধের অধিকারী হওয়ার জন্যও আন্দোলন দরকার। আসুন, সবাই মিলে আমরা
সেই প্রচেষ্টা চালাই।
ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০০৯-১০ অর্থবছরে যেখানে নারী নির্যাতনের সংখ্যা ছিল ১৩ হাজার ৫২৫টি, ২০১০-১১ অর্থবছরে তা ৩১ দশমিক ৬৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৮১১টিতে। ২০১০-১১ অর্থবছরে ধর্ষণের সংখ্যা বেড়েছে ৩৭৫টি। বিগত অর্থবছরে ছিল তিন হাজার ৮৪টি। ২০১০-১১তে তা দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৪৫৯টিতে। এ পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রতিদিন গড়ে ৯টির বেশি ধর্ষণের ঘটনা সরকারের অভিযোগ খাতায় উঠছে। এটি নারীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত চূড়ান্ত পর্যায়ের একটি অপরাধ। যৌতুক আদায় করতে গিয়ে নির্যাতনে প্রাণ হারাচ্ছেন প্রতিনিয়ত নারীরা। এ ক্ষেত্রে পরিবারের অন্য নারী সদস্যরা নির্যাতিত নারীর বিরুদ্ধে অবসান নিচ্ছেন। ইভটিজিংয়ের বিষয়টি সব সময় আলোচনায় থাকছে। অর্থাৎ এটি অহরহ ঘটে চলেছে। অপেক্ষাকৃত কম বয়সী অসংখ্য মেয়ে প্রতিনিয়ত বখাটে ছেলেদের অত্যাচার সহ্য করে যাচ্ছে। অনেকে অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছে। এ মিছিল ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় প্রায়ই বখাটেদের হাতে নিকটাত্মীয়দের প্রাণ হারানোর খবর পত্রিকার শিরোনাম হচ্ছে। প্রাণ হারানোর তালিকায় অনেক সময় শিক্ষকদেরও দেখা যাচ্ছে। অর্থাৎ তারা ছাত্রীদের অপমানের প্রতিবাদ করায় বখাটেদের আক্রমণের লক্ষ্যে পরিণত হচ্ছেন। অনেক সময় বখাটেরা এসিডে ঝলসে দিচ্ছে মেয়েদের। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই প্রতিবেদনে ৮৫টি অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে।
নানা প্রচার-প্রচারণার পরও নারীর প্রতি সহিংস আচরণ কমছে না। এর জন্য বর্তমান সামাজিক ব্যবস্থাকে দায়ী না করে পারা যায় না। আমরা নারী অধিকার আদায়ের ব্যাপারে আন্দোলন সংগ্রামে অনেক দূর এগিয়ে গেছি। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে নারী উন্নয়নের জন্য আমাদের মধ্যে যতটা মানবিক মূল্যবোধ অর্জিত হওয়ার দরকার, তা হয়নি। সোজা কথা, মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধ করা যায়নি। নারী অধিকার আন্দোলন হয়তো জোরদার হয়েছে, কিন্তু নৈতিক অবক্ষয়ের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। সে জন্য রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে সে মূল্যবোধ জাগ্রত করার জন্য উদ্যোগ নেয়া দরকার। অন্য দিকে নারী প্রগতির আন্দোলনের পাশাপাশি নারী-পুরুষ সবার উন্নত মূল্যবোধের অধিকারী হওয়ার জন্যও আন্দোলন দরকার। আসুন, সবাই মিলে আমরা
সেই প্রচেষ্টা চালাই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন